নিরন্ত হিংস্রতার রক্ত-- পুঞ্জ করা ফুলপত্রালির
নিরন্ত হিংস্রতার রক্ত-- পুঞ্জ করা ফুলপত্রালির
লাবণ্যে ঘেরা দেয়া, রক্ত ফুটে না বেরোয়। সবুজের
ধক বাড়ছে ক্রমাগত, তেজ হয়ে উঠছে ফুলবাস--
নিরন্ত রক্ত কি চাপা পড়তে চায়? এত সংখ্যাহীন
হিংস্রতা চারধারে, কত ফুলপাতায় চাপা দেবে তাকে?
শত অস্ত্র বেয়ে রক্ত যুঁজিয়ে পড়ছে সারাক্ষণ
বনোচ্ছেদ উৎসবের তালে তাল দিয়ে মাতোয়ারা।
ছোট একটা এলাকার সবুজ সুবাসের ঘোরে ঘোরে
ভাবছি তার লাবণ্যে বুঝি চাপা পড়তে চলেছে উগ্রতা!
ভাবছি হিংস্রতা ব্যর্থ হয়ে যাবে স্বভাবশান্তির
আলো লেগে! কিন্তু রূঢ় মেশিন বাস্তব দিনে দিনে
যেভাবে বাড়ছে ক্ষীণ সবুজও যে পুড়ে ছাই হয়ে গেল!
তাও সব ভুলে যাই তৃতীয়ার চকিত এককলা
সোনার চাঁদটার দিকে চোখ প'ড়ে গেলে সন্ধ্যাবেলা।
চলতে চলতে রাস্তা যেন লাফিয়ে উঠল ফ্লাইওভারে
চলতে চলতে রাস্তা যেন লাফিয়ে উঠল ফ্লাইওভারে--
পাঁচটা সাতটা কাটাকুটি দ্রুত পথ উপর তলায়
উড়াল দিয়েছে আকাশফুল পেড়ে আনবে ব'লে। দুধারি
বড়ো বড়ো হাসিমুখ হোর্ডিংয়ে বেজে চলছে মিডিয়া
যত দূর পথ যেন স্বচ্ছ আকাশের মধ্য দিয়ে...
মুক্ত পথ-- ভাইরাস উড়ছে না অমঙ্গল ডানা মেলে।
তাও থেকে থেকে আরো উড়াল দিয়ে উঠছে ফ্লাইওভার--
কুছোঁয়া না লাগে যেন তলাকার, যদিও তলাতে গিয়ে ফের
পড়তে হবে শহররাস্তায়, অনুপায়ে চলে যেতে হবে
রুগ্ন জনতার ঘেঁষাঘেঁষি... তবু চলতে চলতে
বারেবারে লাফিয়ে উঠছে পাঁচটা সাতটা উপর তলার
ফ্লাইওভার যেন স্বচ্ছ আকাশের মাঝ দিয়ে তার পথ।
দুধারি হোর্ডিংয়ে বেজে চলেছে মিডিয়া উচ্চগ্রামে--
রঙদার কথার তোড়ে আবছায়া হয়ে গেছে প্যান্ডেমিক..
No comments:
Post a Comment