অনুবাদ: প্রসূন মজুমদার
ছুঁড়ে ফেলা
অনুমানে বুঝলাম
এ চিঠি তোমার। আমি চিনেছি
ওই বাদামী কালি,
হাইফেনের দাগ
পোস্টমার্ক আর তারিখ পড়েছে কেউ,
অধৈর্যকে চাপা দিলাম
একটা পেপারওয়েটে।
তোমার চিঠি নিয়ে ঠিক এগারোটায়
গেলাম বাগানে
সঙ্গে চা।
আর হঠাৎ হলুদ গোপন আঠা
অর্ধ্বেক উঠে এলো
যেন পাকা কুলবন
ছাড়িয়েছে খোসা।
সৌরভহারানো পাতাগুলো ঝরে যেতে দিই
আবার তুলি
আমার নির্লজ্জ হাতে। চিঠিটা ওল্টাই
পিছনে
তোমার মুখ দেখব বলে
মুখ তুলি। রোগা, সাদা মুঠো
আমার তামাটে হাতের থেকে ঝুলে আছে।
বর্ষজীবীর মৃত্যুমাস
সে শুনেছে আছে এক গাছ
বছরের সবক'টি দিনে
আরও গাছ গজানোর আঁচ
পাওয়া যাবে চাঁদ চিনে চিনে।
তবু রোজ ব্যথা কুরে খায়
গাছেদের স্তন নেই কোনও
হৃদি ঢাকে সবুজ হাতায়
ফেটে পড়ে নাড়িভুঁড়ি, মনও।
দুম করে প্রেমে পড়ে তার
বাসাভাঙা অন্ধ সে পাখি
গোলাপি হাঁ ভাঙা ঘড়িটার
সে পাখির প্রেমে হাত রাখি।
কার পথ চেয়ে সে কী দেখে
শহরের পথে পথে রোজ
সময়ের বিধিবাধা থেকে
যে হারাল তাকে করে খোঁজ।
---------------------------------------------------------
পল মালডুনের জন্ম ১৯৫১ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের আরমাঘে। ১৯৮৭ থেকে আমেরিকার বসবাস। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটি বিভাগের অধ্যাপক। ২০০৪ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অফ পোয়েট্রি নিযুক্ত হন। ১৯৯৪ সালে পান টি এস এলিঅট পুরস্কার।
No comments:
Post a Comment