খেলা
আবেগ তোমায় আত্মীয় করেছি
হৃৎপিন্ডে সহস্র শব্দের হাহাকার না হলে দেখতাম
কী করে?
সহস্র সমুদ্রের অমৃতধারা নিয়ে
আমার মায়েরা
হেঁটে গেছে দিগন্তের সূর্যে লাগাম ধরতে
আর তোমাকে মৌচাকের ঘর গুনে
জারুল পাতার মাঝে ঘুমোতে দেখেছি রাতে-
বিছানায় নিয়ে এসে
ভালোবাসায় গল্প করার ইচ্ছেটুকু উবে গেছে-
শবের এই শহরে লাশ কম পড়েছিল একবার
বিচ্ছেদী সুরের মতো ভজন বেজেছিল
কফিনের কত সপ্তম পেরেক ফেলে দিয়েছি-- সে সব জানেনি হয়তো কেউ-
শ্মশানে চুল্লি জ্বলে; লাশ সাজিয়ে দিন
আঠারোর জীবনে শেষ খেলা, দেশ ও জীবনের মিলন
কবি
নদীর কিনারে ফেলা নোঙর-অন্ধ আতুড়ঘরের চিৎকার-
শুনতে চাই না আর।
ভাঙা আকাশের নতমুখ শোকের অবাধ পাথরে
প্রেমের খাটিয়া পেতে বিশ্রাম নেয়।
এসবের মাঝেও মনে রেখো
ধূসর স্টেশনে আমার পার্থিব দাম্পত্য শেষ হবে আগামীকাল
ফাঁসীগামী আত্মার ক্রন্দনে আয়নার কফিন দেখব--
অন্ধ কালো বিড়াল দু'টি পেছনে ফুঁপিয়ে ওঠে
পৃথিবীর কখন অসুখ হবে আমি কখন ওষুধ দেব
কখন আমার পায়ের ছাপে পৃথিবীর অঙ্ক কষব
ওদের পদপিষ্টে ভাঙা ভাতের থালা
কোন বসন্তবিলাপের সঙ্গী হবে!
কবিতা সঙ্গমের জন্য অপেক্ষায় আছি
শেষ সীমান্তে পৌঁছে যাব বলে এসেছি
এখানে কবিরা কি মরুভূমিতে চেরী খায়?
নগ্নপায়ে পলাশের বেড়ি জড়িয়ে পান্ডুলিপির পর পান্ডুলিপিতে কী অক্ষর ছাপেনি ওরা!
অনবদ্য
ReplyDeleteধন্যবাদ
Deleteভাল লাগল হৃদয় 😊
ReplyDeleteধন্যবাদ দিভাই
DeleteKhub valo laglo
ReplyDeleteধন্যবাদ
Deleteধন্যবাদ
ReplyDeleteধন্যবাদ
ReplyDeleteধন্যবাদ
ReplyDeleteধন্যবাদ
ReplyDelete