খনন
কতটুকু কান্না করলে ফুরাবে অশ্রু? এই মাটি লগ্ন শরীর তোমাকে কেবল পদপিষ্ট করে চলে! তবু চন্দ্রাবতী আষাঢ়ে বৃক্ষের ভেজা দেখে তুমিও ভিজতে চাও দুঃখ ধুয়ে নিতে! তোমার পাশের বালিশে ঘুমায় একটা অক্টোপাস! তোমার স্বপ্নও আটকে রাখে পিচ্ছিল নরম আর লোভাতুর পা দিয়ে! তুমি সৈকত হয়ে জন্ম নাওনি! তবু ঢেউয়ের আঘাতে আঘাতে ভুলে গেছো লবঙ্গ বনগামী জাহাজের নাবিকের মুখ! তোমার বুকে শুধু স্তন নেই, সাহসের খনিও আছে, শুধু তুমি খনন করো...
কলিংবেল
মৃত্যুকে খুঁজতে গেলে বাড়ি পাবে না তোমার জন্য! মৃত্যু তোমাকে খুঁজে নেবে! তুমি বরং বৃক্ষের মূলে জল দাও, কামরাঙা পাতার সতেজতা দেখো, সফেদার ডালে এসে বসা চড়ুইয়ের সাথে কথা বলো, ও চড়ুই সঙ্গমেই সুখ নয়, এই ধূসর ডানায় মেঘ ছুয়ে দেখো, তুমিও পাবে রঙ্ধনুর জীবন! তোমার শরীরকে ছেড়ে দাও বাসি পূজোর ফুলের মতো ভোরের স্রোতে। তোমার মনকে ঘরের কলিংবেল করে রাখো। আমি এসে বাজাবো যেকোন সময়...
অবসর
এই ঘোড়াহীন ভ্রমণের নাম জিজ্ঞাসা! সব পথের পাশে মাইলফলক থাকে না। আমার ক্লান্তি মাপার উপায় কি? সামনে কেবলই আকাশ হেলে থাকতে দেখি। যেনো মাটিকে চুমু খেতে চায় অনাদিকাল থেকে। চন্দ্র সূর্যের কাছে মানুষের দায় দায়িত্ব দিয়ে আমার অবসর চাই। আমাকে অনেক আঁচল বাধতে গিয়ে শাড়ির কুচি খুলে গেছে! আমি ঘোড়া ভেবে কুপথে গমন করেছিলাম অতীতে!
No comments:
Post a Comment